Wellcome to National Portal
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৭ August ২০১৯

প্রেস রিলিজ


প্রকাশন তারিখ : 2019-08-06

 

প্রেস রিলিজ

          অদ্য ০৬.০৮.২০১৯ তারিখ সকাল ১০:০০ ঘটিকায় মাননীয় কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি, রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর এর প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোঃ নাসিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব মোহাম্মদ ইউসুফ এর সভাপতিত্বে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় অধিদপ্তরের কার্যাবলী, অর্জিত সাফল্য ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে মাননীয় মন্ত্রী মতবিনিময় করেন। এ সময়ে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধিদপ্তরের বিভিন্ন কার্যক্রম, অর্জন, চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যতে সম্পাদনযোগ্য বিভিন্ন কর্ম পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। কৃষক, ব্যবসায়ী ও ভোক্তা সহায়ক অধিদপ্তরটি বর্তমানে নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষি পণ্যের সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও বাৎসরিক বাজার দর সংগ্রহ ও প্রচার, সারাদেশে মূল্যের তারতম্যের কারণ ও করনীয় বিষয়ক কর্মকান্ড পরিচালনা করে থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন কৃষি পণ্যের মূল্য বিস্তৃতি, উৎপাদন ও বিপণন খরচ নির্ণয় এবং কৃষক ও ভোক্তা সহায়ক বাজার মূল্য প্রণয়নে বিভিন্ন বিপণন গবেষণা করে থাকে। সভায় জানানো হয় অধিদপ্তরটি শস্যগুদাম ঋণ কার্যক্রম এর আওতায় গত বছর চার হাজারের অধিক কৃষকের প্রায় ৪০০০ মে.ট. শস্য গুদামে রাখা হয় এবং প্রায় ৫ কোটি টাকা ঋণ সহায়তা প্রদান করা হয়। প্রয়োজনীয় জনবলের অভাব, প্রযুক্তিগত স্বল্পতা, প্রয়োজনীয় লজিস্টিকস এর অভাব ও আন্ত:প্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয়হীনতাসহ অধিদপ্তরের বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতার কথা উল্লেখ করেন। মহাপরিচালক আরো জানান কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কৃষি ও কৃষি ব্যবসার উন্নয়নে দেশের বিভিন্ন স্থানে এ পর্যন্ত ১৮টি এসেম্বল সেন্টার, ৮১টি শস্য গুদাম, ১টি সেন্ট্রাল মার্কেট, ৬০টি গ্রোয়ার্স মার্কেট এবং কৃষি ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে ১৩টি আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মান করা হয়েছে। ১২০৩৫ জন নারী উদ্যোক্তাসহ প্রায় ৪০০০০ কৃষি উদ্যোক্তা সৃষ্টি করা হয়েছে। অধিদপ্তরের আওতায় ১৩৮০ টি কৃষক বিপণন দল রয়েছে যার মোট সদস্য প্রায় ৩৫০০০। বর্তমানে অধিদপ্তরটির প্রজ্ঞাপিত বাজার সংখ্যা ৯৪৯টি, লাইসেন্সধারী বাজার কারবারি প্রায় ৩২০০০। বিপণন অবকাঠামো নির্মান, গুদাম সম্প্রসারন,বিশেষায়িত হিমাগার নির্মান, বাজার সংযোগ বৃদ্ধি, যৌক্তিক মুল্য বাস্তবায়ন, কৃষি পণ্যের মূল্যনীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, জিরো এনার্জি কুল চেম্বার নির্মান, বিপণন দল বৃদ্ধিকরণসহ কৃষক, ব্যবসায়ী ও ভোক্তা সহায়ক বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনার কথা জানান। 

          মাননীয় মন্ত্রী ও সচিব মহোদয় অধিদপ্তরের কার্যাবলীর প্রশংসা করেন। পাশাপাশি সাপ্লাই চেইন উন্নয়ন, কৃষি পণ্যের বিপণন সংক্রান্ত গবেষণা জোড়দারকরণ, অবকাঠামো উন্নয়ন, কৃষি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় বৃদ্ধিকরণ, আরো বেশি বিপণন তথ্য সংগ্রহ, সংকলন ও গবেষণার উপর জোর দেওয়ার পরামর্শ দেন। বিশেষ করে নবীন কর্মকর্তাদের প্রতি উৎসাহ প্রদর্শন করেন এবং বিপণনে আরো কার্যকরী ভূমিকা রাখার আহবান জানান। এছাড়া সভায় বাজার দর পর্যালোচনাসহ যৌক্তিক মূল্যের বাস্তবায়ন, বাজার মনিটরিং জোরদারকরণ, রপ্তানী বাজার সম্প্রসারণ, কৃষকদের উৎপাদিত কৃষি পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতকরণ প্রভৃতি বিষয়ে  আলোচনা হয় । এসময় মাননীয় কৃষি মন্ত্রী কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতকরণের বিষয়ে গুরত্বারোপ করেন। তিনি অধিদপ্তরের নবীন কর্মকর্তাদের বাজার গবেষণা কাজে আরও সম্পৃক্ত হওয়ার আহবান জানান। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মীর নূরুল আলম, কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক ড. মোঃ নুরুল ইসলাম ও কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।

                                                                               স্বাক্ষরিত/-    
                                                                                                          মহাপরিচালক
                                                                                                          কৃষি বিপণন অধিদপ্তর
                                                                                                          ০৬-০৮-২০১৯