Wellcome to National Portal
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৪ নভেম্বর ২০১৬

ফুল বিপণনে দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ


প্রকাশন তারিখ : 2016-11-24

ফুল বিপণনে দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ

 

ফুল বিপণনে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ফুল উৎপাদন ও ফুল বিপণনের সাথে জড়িত ব্যবসায়ী প্রতিনিধিবৃন্দের জন্য ২৩/১১/২০১৬ তারিখ রোজ বুধবার কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়, খামারবাড়ি, ফার্মগেট, ঢাকা এর সভাকক্ষে দিনব্যাপি ‘‘ফুল বিপণনে দক্ষতা উন্নয়ন’’ বিষয়ক একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। প্রশিক্ষণ কর্মসূচীতে অত্র অধিদপ্তরের সদর দপ্তর ও জেলা পর্যায়ের ১০ জন কর্মকর্তা এবং ফুল চাষী ও ঢাকা মহানগরীতে ফুল বিপণনের সাথে জড়িত ব্যবসায়ীসহ মোট ৩০ (ত্রিশ) জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব মোঃ মাহবুব আহমেদ এবং বিশেষজ্ঞ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. এ, এফ, এম, জামাল উদ্দিন, অধ্যাপক, উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও ড. ফারজানা নাসরীন খান, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট। প্রশিক্ষণ কর্মসূচীতে মহাপরিচালক মহোদয় এবং ফুল ও উদ্যানতত্ত্ব বিষয়ে বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষকগণ ফুলের সুষ্ঠু বিপণনে মূল্য সংযোজনের ভূমিকা, আধুনিক ফুল প্যাকেজিং পদ্ধতি, ফুল সংগ্রহ ও সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা, বাজারজাতকরণ সমস্যা ও করণীয়, বাণিজ্যিক ফুল চাষের বর্তমান অবস্থা ও অর্থনৈতিক বিশ্লে­ষণ ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন এবং প্রশিক্ষণার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেন। প্রশিক্ষণার্থীগণ ফুল চাষ ও বিপণন সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা, বাংলাদেশে ফুলকে কিভাবে শিল্পের পর্যায়ে উন্নীত করা যায় এবং দেশের বাইরে রপ্তানী বৃদ্ধি বিষয়ে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ও সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন। মহাপরিচালক ফুল চাষ ও বিপণনে উৎপাদন এলাকায় এসেম্বল সেন্টারসহ ঢাকার গাবতলীতে একটি প্রসেসিং ও প্যাকেজিং সেন্টার নির্মাণ করার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে বলে ফুল চাষী ও ব্যবসায়ীদের অবহিত করেন। তিনি আরো বলেন যে, বাজার চাহিদা অনুযায়ী আধুনিক ও যুগোপযোগী প্যাকেজিং পদ্ধতির মাধ্যমে সুষ্ঠু বিপণনের সহায়তায় ফুলের মূল্য সংযোজন বৃদ্ধি করা সম্ভব। ফুলের মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে ফুলের উৎপাদন এলাকা ও গুনগত মান যেমন বাড়বে তেমনি সংগ্রহোত্তর ক্ষয়ক্ষতি কমে আসবে এবং বাণিজ্যিক ফুল চাষ লাভজনক হবে। ফলশ্রুতিতে ভোক্তা উপযোগী একটি মানসম্মত বাজার ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। আশা করা যায় খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমরা সকল সমস্যার সমাধান করে ফুল বিপণনে দক্ষতা উন্নয়নে সক্ষম হবো।

 

ছবি    ১।

       ২।